বাণিজ্য উপদেষ্টা: এলডিসি উত্তরণে সক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান
- By Jamini Roy --
- 03 December, 2024
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বাংলাদেশ বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বিরোধ নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এলডিসি থেকে উত্তরণকে কেন্দ্র করে দেশকে নতুন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার মুখোমুখি হতে হবে। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত "বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত জাতীয় কর্মশালার" উদ্বোধনী অধিবেশনে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ এলডিসি তালিকা থেকে উত্তীর্ণ হতে যাচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তবে এই উত্তরণ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাড়ালেও, এর জন্য প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ ও ব্যবসায়িক সংগঠনের সক্ষমতা বৃদ্ধি।
তিনি উল্লেখ করেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে বাণিজ্য বিশেষ সুবিধাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) এবং সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় হতে হবে।
শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্য রয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), দক্ষিণ এশীয় উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (SASEC), এবং আসিয়ান অঞ্চলের সঙ্গে। এসব অংশীদারিত্ব আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।
তিন দিনব্যাপী এই জাতীয় কর্মশালা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ক নিয়ম ও পদ্ধতি সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের ধারণা উন্নত করবে। কর্মশালা শেষে এই অর্জিত জ্ঞান বাস্তব কাজে প্রয়োগের সক্ষমতা বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের পরিচালক জর্জ ক্যাস্ট্রো, এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের বাণিজ্য খাতকে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করতে দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বহুপাক্ষিক বাণিজ্য কাঠামোতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। এলডিসি উত্তরণ দেশের জন্য যেমন গৌরবের বিষয়, তেমনি এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থানকে পুনর্গঠনের সুযোগ।